November 6, 2020 By Easin 0

কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড

Cox’s Bazar Tour Guide

coxs bazar seca bach the longest sea beach in the world

বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র হলো কক্সবাজার। যেখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত যার দৈঘ্য ১২২ কিলোমিটার। এছাড়াও রয়েছে মৎস্য বন্দর ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিন-পূবাঞ্চলে অবস্থিত এবং চট্রগ্রাম থেকে ১৫৯ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত একটি শহর। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪১৪ কিলোমিটার।

নামকরন

কক্সবাজারের প্রাচীন নাম ছিল পালঙ্কি। এটি পানোয়া নামেও পরিচিত ছিল। কক্সবাজারের  চারপাশে হলুদ ফুলে ফুটে থাকতো সব সময় তাই এখান থেকে পানোয় বা হলুদ ফুল নাম করন করা হয়। সর্বশেষ কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে।

কক্সবাজারের ইতিহাস

কক্সবাজারের ইতিহাস মুঘল আমল থেকে শুরু হয়। ৯ম শতাব্দীর শুরুর দিকে ১৬১৬ সালে চট্রগ্রামের একটি বড় অংশ কক্সবাজার সহ আরাকান রাজ্যের অন্তভূক্ত ছিলো। মুঘল সম্রাট শাহ সুজা পাহাড়ী রাস্তা দিয়ে আরাকানে যাওয়ার পথে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিমোহিত হয়ে যান এবং সেখানে ঘাটি গাড়ার নির্দেশ দেন। তার এক হাজার সেনা বহরের পালঙ্গী ডুলি সেখানে অবস্থান নেয়। পরবর্তিতে ত্রিপুরা এবং আরাকানদের দখলে চয়ে যায় এলাকাটি এবং কিছু সময় শাসনও করে। এরপর পর্তুগিজ ও ব্রিটিশরা এর পুরোপুরি দখলে নিয়ে নেয়। ব্রিটিশ দখলে আসার পরেই এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কক্স সাহেবের বাজার। সেখান থেকেই পরবর্তিতে কক্সবাজার নামে নামকরন করা হয়। যা এখনও কক্সবাজার নামেই পরিচিত।

কক্সবাজারের ভ্রমনের বিস্তারিত

কক্সবাজার ভ্রমন মানেই একটি আনন্দ এবং প্রশান্তিময় ভ্রমণ। বৈচিত্রময় স্থান, মনমুগ্ধকর পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এমন যে আপনি এসবের মায়া ছেড়েই আসতে মন চাইবে না। ১২০ কিলোমিটার পযর্ন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বালুময় সমুদ্র সৈকত আপনাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করবে। এছাড়াও রয়েছে ইনানী বীচ, লাবনি বীচ, কলাতলি বীচ, হিমছড়ি, সোনাদিয়া, রামু, মহেশখালী, আদিনাথ মন্দির, ডুলা হাজরা সাফারী পার্ক, টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ।

আসুন আমরা জেনে নেই কক্সবাজারের কোথায় কি আছে, কিভাবে সেখানে ভ্রমন করবো এবং কোথায় কেমন খরচ পড়বে।

কক্সবাজারসমুদ্রসৈকত

১২০ কিলোমিটার দৈঘ্য বিশিষ্ট এই সমুদ্র সৈকতটি পুরো বালুময়। তবে কোথাও কাদার অস্থিত্ব পাওয়া যাবে না। পর্যটন মৌসুমে বালিয়াড়ি সৈকতে নানা প্রজাতির বিপনি, শামুক-ঝিনুক পাওয়া যায়। অত্যাধুনিক হোটেল –কটেজ রয়েছে সেখানে। এছাড়াও বার্মিজ মার্কেটগুলো পর্যটকদের জন্য বিচরনের অন্যতম একটি স্থান। প্রতিটি ঋতুতেই এই সৈকতের রুপ বিভিন্নভাবে বদলায়। তবে শীতকালে থাকে পর্যটকদের উপচে পরা ভিড়। তবে শীত কাল ব্যাতিত  অন্যান্য সময় অনেক সুবিধাই পাবেন। হোটেল ভাড়াও কম লাগবে।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে, রেল পথে কিংবা আকাশ পথেও যেতে পারেন। এস আলম, সৌদিয়া, গ্রিনলাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহন, শ্যামলি পরিবহন, এস আলম মার্সিডিজ, মডার্ন লাইন ইত্যাদি পরিবহন গুলোতে যেতে পারেন।

সিটিং সার্ভিস (নন এসি) বা এসি বাসে প্রতি সিটের ভাড়া ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পযর্ন্ত পড়বে। অল্প খরচে গেলে নন এসিতেই যেতে পারেন।

তবে যদি আপনি ট্রেনে যেতে চান কক্সবাজার তাহলে ঢাকা থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন বা বিমানবন্দর রেইল স্টেশন থেকে সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্না – নিশীথা এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী/ গোধুলী বা চট্রগ্রাম মেইলেও যেতে পারেন।

চট্রগ্রাম যাওয়ার পরে নতুন ব্রিজ এলাকায় বা পাশের দামপাড়া বাস স্ট্যান্ড এই বিভিন্ন ধরনের গাড়ি পাবেন কক্সবাজার যাওয়ার জন্য। হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এস আলম বা ইউনিক এন্টারপ্রাইজ দিয়েও যেতে পারেন। ভাড়া বাসের কোয়ালিটি ভেদে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৫০ টাকা পযর্ন্ত নিবে। শীতকালে কিছুটা বেশিও নিতে পারে।

যেখানে রাত্রিযাপন করবেন

পর্যটন এলাকা হওয়ার কারনে কক্সবাজারে প্রচুর পরিমানে থাকার হোটেল বা রিসোর্ট পাবেন। সর্বচ্চো দেড় লাখ লোক যে কোন সময়-ই অবস্থান করতে পারে সেখানে। তাই শীতের সিজন ছাড়া অন্য কোন সিজনে হোটেল বুকিং দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। তবে শীত কালে নিশ্চয় আগে বুকিং দিবেন । বিশেষ করে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে জানুয়ারীর ১৫ তারিখ পযর্ন্ত। যেহেতু বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ কক্সবাজার ভ্রমনে যায় তাই সেখানে কয়েক শ্রেনীর হোটেল বা রিসোর্ট পাবেন।

৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০ টাকা পযর্ন্ত বিভিন্ন কোয়ালিটির হোটেল বা রির্সোট পাবেন। এর কম খরচে থাকতে চাইলে আপনাকে মেইন রাস্তা থেকে একটু ভিতরের দিকে হোটেল খুজতে হবে। তবে শীত কালের তুলনায় অন্যান্য সময় অর্ধেক ভাড়ায় হোটেল বুকিং দিতে পারবেন। আপনি নিযে কিছু হোটেলে যেয়ে যেয়ে দরদাম করে নিলে বেশি ভালো হবে।

অনেক সময় অনেকেই রিক্সাওয়ালা বা সিএনজি ওয়ালাদের বলে যে সুবিধাজনক হোটেলে তাদের নিয়ে যেতে। আমি মনে করি এটা নিছকই বোকামি হবে। কারণ, এইসব রিক্সাওয়ালা বা সিএনজি ওয়ালাদের সাথে হোটেলের কন্ট্যাক্ট করা থাকে। সেখানে থেকে তারা একটা অংশ পায়। তাই তাদের পরামর্শ অনুযায়ী গেলে আপনি ভালো হোটেল বা রির্সোট নাও পেতে পারেন।

তবে আপনি যেটা করতে পারেন, প্রায় প্রতিটি হোটেল বা রির্সোটেরই ফেসবুক পেইজ আছে। তাদের পেইজে যেয়ে বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন আগেই।

বিশেষ সর্তকতা

ভ্রমন যেমন আনন্দদায়ক ঠিক তবে অসর্তক থাকলে তার বিপরীতও হতে পারে। তাই যেকোন যায়গায় ভ্রমন করার সময় বিশেষ করে কিছু জিনিস সতর্ক থাকা অতিব জরুরী।

* কোন সমস্যা বা বিশেষ প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন। কক্সবাজার পুলিশ বক্স: ০১৭৬৯-৬৯০৭৮০

* কেনা কাটা করার সময় অবশ্যই পূর্বে ভালোভাবে দরদাম করে নিবেন। নাহলে দুষ্ট চক্র আপনাকে সুযোগ বুঝে অনেক বেশি টাকা হাতিয়ে নিবে।

* জোয়ার ভাটার সময় সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকুন।

* যে কোন হোটেলে উঠার আগে সেই হোটেল সম্পর্কে আগে ভালোভাবে খোজ খবর নিন।

* খাবার হোটেলে খাবার মেনুর সাথে দাম জিজ্ঞাসা করে নিন।

৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন, হানিমুন রিসোর্ট, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, উর্মি গেস্ট হাউজ, মিডিয়া ইন, কল্লোল, সেন্টমার্টিন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট ইত্যাদি।

৬ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত যেসব হোটেল বা রিসোর্ট গুলো পাবেন সেগুলো হলো: কক্স টুডে, সায়মন বিচ রিসোর্ট, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, ওশান প্যারাডাইজ, লং বিচ, হেরিটেজ ইত্যাদি।

আবার ৩ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাবেন, বিচ ভিউ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, ইউনি রিসোর্ট, হোটেল সি ক্রাউন, সী প্যালেস, সী গার্ল, কোরাল রীফ ইত্যাদি।

কলতলী বীচ

কক্সবাজারের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হলো কলাতলী বিচ। কক্সবাজার থেকে কলাতলী বিচ প্রায় ৩ কিলো রাস্তা। বাসে চড়েই যেতে পারবেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই সেখানেও বিভিন্ন ধরনের খাবার হোটেল পাবেন।

প্রাকৃতিক সুন্দর্য্য উপভোগ করতে বা সমুদ্রে গোসল করতে কলাতলী বিচ আপনার জন্য সুবিধায় হবে। সন্ধ্যার জোসনা উপভোগ করা যা কাপলদের জন্য এক রোমান্টিক মুহুর্ত বয়ে আনে কলাতলী বিচে। সব ধরনের মানুষই এই বিচে আসতে পারে।

লাবনী বীচ

লাবনী বিচকে সবাই পুরোতন সি-বিচ নামেও চিনে। সি-বিচে ভ্রমনের এক অনন্য আনন্দ হলো লাবনী বিচে। কক্সবাজার থেকে লাবনী বিচের দুরুত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। আপনি রিকসায় অথবা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পায়ে হেটেও যেতো পারেন লাবনী বিচে।

লাবনী বীচকে কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকতও বলা হয় কারন এটা কক্সবাজারের একদমই নিকটতম। লাবনী ব উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি নানা ধরনের আর্কষনীয় জিনিসও কিনতে পারবেন। সেখানে বেশ একটা ঝিনুক মার্কেটও গড়ে উঠেছে। ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য ঝিনুক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জিনিস পাবেন।

হিমছড়ি

কক্সবাজার যাবার পরে যদি আপনি হিমছড়ি না যান তাহলে ভ্রমনটাই বৃথা মনে হবে। কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দুরে হিমছড়ি। সেখানে ছোট – বড় অনেক ঝর্ণায় আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে। হিমছড়ির শীতল পানীর ঝনার্য় গোসল করা, উচু নিচু পাহাড়ে ফটোগ্রাফি করা আপনার সারাটা দিন আনন্দময় করে রাখবে। বছরের যে কোন সময়ই হিমছড়ি যেতে পারবেন তবে বর্ষাকালে ঝর্নাগুলো আপনাকে অনেক বেশি আনন্দ দিবে।

হিমছড়ির ইকোপার্কেও রয়েছে ছোট-বড় অনেক ঝর্না। চারদিতে সবুজে বৃস্তিত মেরিন ড্রাইভ রোড আর পাহাড়ে দাড়িয়ে সুযার্স্ত উপভোগ করতে পারবেন। সারাটা দিন আপনার কাটবে একদমই ফুরফুরা মেজাজে। হিমছড়ির ইকোপার্কে প্রবেশের টিকিট মুল্য লাগবে ২০ টাকা।

ইনানী বিচ

কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিনে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইনানী বিচ। যার পশ্চিম পার্শে সমুদ্র আর পূর্ব পাশে পাহাড়। এ যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যের এর অপরুপ লীলাভুমি। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পযর্ন্ত যেই ১২০ কিলোমিটার।

সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় হলো ইনানী বিচ।  ইনানী বিচ যাওয়ার পথ হলো কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ এর রাস্তা দিয়ে। ইনানী বিচে মোটরবাইকে করে আপনি ঘুরোঘুরি করতে পারবেন। সমুদ্রের বড় বড় ডেউ এবং তার বিকট শব্দে আপনাকে মনে প্রশান্তি এনে দিবে। আপনি কলাতলি থেকেও ইনানী বীচে যেতে পারবেন। ৭-৮ কিলোমিটার রাস্তা সিএনজিতে ভাড়া নিবে ৩০ টাকা।  পাহাড়ে প্রবেশ করতে হবে ৩০ টাকা ফি দিয়ে। তবে পাহাড়ে উঠার সময় খেয়াল রাখবেন যত উপরে উঠবেন ততই অক্সিজেন কমে যাবে। তাই টক জাতীয় খাবার ও পানি সঙ্গে রাখবেন তাতে আপনার অনেক উপকার হবে।

সোনাদিয়া দ্বীপ

সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত। কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের দূরে সাগরের গর্ভে অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ। দ্বীপটি প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপটির ৩ দিকে সমুদ্র সৈকত। বিচিত্র প্রজাতির

জলচর পাখি দ্বীপটিকে অপরুপ করে রেখেছে। এই দ্বীপে ২ টি মসজিদ, ১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি সাইক্লোন সেন্টার এবং আনুমানিক ১২ টি গভির নলকুপ আছে। সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য সোনাদিয়া দ্বীপ একটি অন্যতম পর্যটন যায়গা। এটি জীববৈচিত্রের দ্বীপ বা প্যারাদ্বীপ নামেও পরিচিত।

কক্সবাজার সদর হতে কস্তুরা ঘাট বা ৬নং ঘাটা বা উত্তর নুনিয়া ছড়া সরকারী জেটী ঘাট হতে স্প্রীট বোট বা কাটের বোটে করে সোনাদিয়া দ্বীপ যেতে হয়।

এছাড়াও আরো রয়েছে রামু। বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত থানা। যা বৌদ্ধ ধর্মাবলীদের একটি পবিত্র স্থান। মহেশখালি: মহেশখালিতে রয়েছে হিন্দুদের তীর্থস্থান বিখ্যাত আদিনাথ মন্দির। পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত এই মন্দির।  সমুদ্র স্থর থেকে এটি প্রায় ৮৫.৩ মিটার উচু মৈনাক পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত।

উপসংহার

ভ্রমন হলো জীবনের আনন্দময় একটি অধ্যায়। জ্ঞানপিপাসুদের জন্য জ্ঞানের একটি সমুদ্র। ভ্রমনের মাধ্যমে মানুষ যেমন প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় থেকে জ্ঞান লাভ করতে পারে ঠিক অপর দিকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কাজের ব্যস্ততার পরে মনকে ফ্রেশ করতে সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম। ভ্রমন পিপাসুদের জন্য কক্সবাজার হলো সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্থান ভ্রমনের। উচু উচু পাহাড়ের চুড়া, সমুদ্রের ডেউ এবং গর্জন, সবুজ শ্যামল প্রকৃতি, ঝণার্র বারিধারা সবকিছুকেই একসাথে উপভোগ করার জন্য কক্সবাজার ভ্রমনের বিকল্প নেই।